নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১৩ জুন, ২০১৮
‘বিএনপি ভারতে গিয়েছে নালিশ করতে। দেশে বসেও নালিশ, বিদেশে গেলেও নালিশ। কথায় কথায় দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ জানানো দেশের জন্য শুভ নয়। বিদেশে নালিশ জানানো কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের পরিচয় নয়।’
বুধবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার গাবতলীতে বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে এসে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি নেতাদের ভারত সফরকে ইঙ্গিত করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই প্রতিক্রিয়া জানান।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা তো ক্ষমতার জন্য ভারতের কাছে যাইনি। আমরা ভারতের কাছে তিস্তার কথা বলেছি, রোহিঙ্গা সমস্যা ও আমাদের জাতীয় স্বার্থের কথা বলেছি। তারা (বিএনপি) জাতীয় স্বার্থ নিয়ে কি কোনো কথা বলেছে?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘দেশের জনগণ যে রায় দেবে, আগামীতে সেই ক্ষমতায় আসবে। এখানে ভারত কি আমাদের দেশের জনগণকে প্রভাবিত করবে? বাংলাদেশের বিদেশি শক্তির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নাই। আমার জানা মতে ভারত এযাবৎ কখনও হস্তক্ষেপ করেনি।’
সম্প্রতি বিএনপি’র আবদুল আউয়াল মিন্টু, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং হুমায়ুন কবীর ভারত সফর করে এসেছেন। ভারত সফর শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা যদি দৃশ্যমান হয় তাহলে সেটা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক হবে।’
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।